তিনটি কবিতা : পলাশ কুমার
পাল
পাখি হয়নি অব্দ
আরও কিছু স্যালাইন সেঁকে
আরও কিছু সেকি সেকি চোখে
আরও আরও মেকি মেকি বল গড়ায়ে
আমাদের ফুটবল
নরম নরম তুলো উড়িয়ে
চুষে নেয় রক্ত...
পালক পালক ভেসে
মাটি ছুঁয়ে আমরাই খাঁচা,
পাখি হইনি
পাখি হয়নি কোনো অব্দ-
রিমোটের পাশে শুলেই
রিমোটের পাশে শুলেই
স্বপ্নও চলে আসে গুলি হাতে,
আমি খেলি
সেও খেলে
হারি বা জিতি
কাঁচের গুলিরা হাততালি দেয়...
তালে তালে
এক সিঁড়ি দুই সিঁড়ি তিন সিঁড়ি
প্যান্ট খুলে মাটি রটে
মাটি রটে যায়
পরিত্যক্ত বিজ্ঞাপনের সহবাসে...
জ্বরঘোরের ঘর
আরও কিছু জ্বর মাখিয়ে
কোলেতে উপশম পাপড়ি ফোটে
ঘুমেতে বিনুনি দুলিয়ে,
আর খোঁপাগুলো রাঙাগালে কনে
পিয়ানো জুড়িয়ে...
কাঁচ জুড়িয়ে দাগগুলো দাদ
স্বরলিপি কোমরে
দুলে দুলে কাঁখেতে মা,
চলকে চলকে আঁচল ঝরে
জলপটি ভিজিয়ে...
ভেজে জ্বর
খুঁড়ে ঘর
বীজগণিত ইঁদুরে ফেলা মাটি,
পাহাড় ওঠে পাতাল ছাপিয়ে...
নির্মোহ এই বলা; নজর কাড়ে।
ReplyDelete