ব্যর্থতাই আমার উপাসনা,
হারাটাই সাধনা
বাহান্ন বসন্ত এহেন অনমনীয় মেরুদণ্ডে পেরিয়ে এসে বিশ্বরূপই পারেন এই উচ্চারণ করতে। লেখালিখির আদর্শকে প্রায় বৌদ্ধিক পর্যায়ে সংঘ বা সংগঠন ভিত্তিক সাধনায় যাপনের উদাহরণ হিসাবে আজকের বাংলা কবিতায় সবচেয়ে মূল্যবান
নামটি হলো কবি বিশ্বরূপ দে
সরকার যাঁর কাছে কবিতা হলো নিজের ভিতরের অচেনা ভাষাকে আবিষ্কার, গোপনকে
স্পষ্ট করা। 1967 সালে বালুরঘাটে তাঁর জন্ম, সেখানেই শৈশব ও যৌবনকাল। বিশ্বরূপের পিতা ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি মূল্যবান সরকারী চাকরি ছেড়ে বামপন্থী রাজনীতিতে হোলটাইমার হিসাবে দারিদ্র্য আর
সংগ্রামের জীবন স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন।ফলত কৈশোর থেকেই বিশ্বরূপের যোগাযোগ প্রত্যক্ষ শ্রেণী বিপ্লবের সঙ্গে। বিস্ময়কর
মনে হলেও তাঁর বাবার কাছে সাহায্যপ্রার্থী হয়ে আসা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সংস্পর্শ বিশ্বরূপকে এতদূর প্রভাবিত করে যে তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীনই তাঁর জীবনের প্রথম সাংগঠনীক বক্তৃতাটি দিয়ে ফেলেন এক প্রত্যন্ত গ্রামে।নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি কলকাতায় আসেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়া এক নকশাল সভায় যোগ দিতে, সেখানেই পরিচয় হয় এক দম্পতির
সঙ্গে যাঁরা ছিলেন যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়র এবং সেই সভার মূল বক্তা।শুরু হয় নকশাল হিসাবে বিশ্বরূপের পূর্ণাঙ্গ আত্মপ্রকাশের সময়কাল। এই সময়ে গ্রামীন রিক্সাওলা, ঠেলাওলাদের
ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসাবে ছাত্র বিক্ষোভে সোচ্চার হয়ে ওঠা বিশ্বরূপ কলেজের প্রথাগত জ্ঞানার্জনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু
এরপর স্রোতের পরিবর্তন ঘটে। 1967 থেকে
1972 যে আদর্শ নিয়ে নকশাল আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল এবং
1977 সালে বামফ্রন্ট সরকার একক ক্ষমতায় আসার পর যে
উজ্জীবন ঘটেছিল তা 1983-84 সালে মূল থেকে সরে এসে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শাখায় আদর্শগত বিরোধিতার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।এই সময়ে কবি তত্ত্বগত বীতশ্রদ্ধতার বশবর্তী হয়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সংস্পর্শ ত্যাগ করেন। জন্ম হয় "মধ্যবর্তী" নামের নতুন আন্দোলনের 1989 সালে। ক্রমে রাষ্ট্রবিরোধী হিসাবে উত্তরবঙ্গ ব্যাপী এই পত্রিকার পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে, সঙ্গে যুক্ত হয় উৎশৃঙ্খল চর্যা ও একাডেমী বৈরীর লেবেল। শৌখিনতাকে প্রশ্রয় না দেওয়া একজন অনুরাগী হিসাবে এই কবি সুযোগ থাকা সত্বেও কোনোদিন প্রথাগত সরকারী চাকরি গ্রহণ করেননি। দীর্ঘদিন বিরতিতে ছিলেন লিখন থেকে, শুধুমাত্র সম্পাদনাতেই অখণ্ড মনোনিবেশ ছিলো সেই সময়ে। পুনরায় লেখায় ফেরা 'বাক্'-এ। আজ তাঁর সব কবিতা ‘বাক্’-এ
প্রকাশিত হয়, এটা আমাদের পত্রিকার অন্যতম গর্বের বিষয়। (সোনালী
চক্রবর্তী। বিভাগীয় সম্পাদক)
বিশ্বরূপ দে সরকারের একগুচ্ছ কবিতা
প্রাথমিক ভাবে
অনুযোগহীন তোমার নিমেষ।
বুলবুল ও লিরিক বেশ সশস্ত্র।
গন্ধের প্রধান বিনুনি অন্তরালভুক্ত।
দ্যাখো তিন নম্বর উচ্চতায়।
যদিও চৈতন্য তুলে সূচনা ফিরে গ্যাছে।
নির্জন পিপাসার রীল ফুরিয়ে আসছে
এসো বোঝাপড়া করে ফুঁ দি
কাননে
ভাগাভাগি করি ঢেলে আসা মেজাজ ও মর্জি।
তবু কটি অ্যাসপিরিন কোমরের নিচে কাজ করে।
হারিয়ে যায় জামরুল নামের আস্ত সিরিজ।
লোকাল স্যুইচ অফ্ করে আগুনের পাশে দাঁড়াই।
সুইচ অন করে আমূল ভিজে যাই
রাত্রির প্লাজমায় আমার পরিচয়
আলো আর আকাশের পাশে
তুমিই একমাত্র মুদ্রিত।
চান্দ্রমাস
সন্ধ্যা নামলে মেয়েটিকে ডিঙিয়ে যেতে হয়।
দেখি সুগঠিত আঙুল কেমন রেখেছে আমগাছ।
গন্ধের কায়দায় গাছের জ্বর আসলে
ছড়িয়ে পরে শব্দের মিনিটে।
কোন এক পাখি নারকেল গাছের এপ্রিল খোঁজে।
যোগাযোগই নেই এমন চাঁদ সোচ্চার হলে
জ্যোৎস্না সুখের হয়।
তখন তার কোমরে কামিনী ও কাঞ্চন।
জলবাড়ির দম-দেওয়া ঘড়ি
আকাশে আটকে থাকে।
তার ভাঙা তোরণে হালকা সেলাই
তখন হাজার বছরের ছেঁড়া চুম্বন,
তেত্রিশ দানার প্রসিদ্ধ সাদা
হাওয়াকে ডাকতে যায়।
পাতাদের শান্ত বউ দাহ্য ও উদ্যোগী হয়।
কথা দেয়নি এমন দু তিনটি গাছ বৃষ্টিতে
ভেজে।
কাউকে কামড়ায়নি এমন চিরুনি আর রাত্রি
বন্ধুত্ব মেনে নিরীহ এবং হাসিমুখে
কোমরের নিচে রান্না করে।
গমন
তোকে ছুঁতে ইচ্ছে করে ভোর চারটায়।
পাজামা ও নাইটির মধ্যে রফা হয়।
পুরো কায়দার আগে নরম মুদ্রায়
অমনি তার প্রজাপতি সমস্ত রং নিয়ে বধ করে
মনে হয় এই দ্বীপ, জল ও বিদ্যুৎচমক
আমার অচেনা
এই আবির্ভূত ঘাম অনুপ্রেরণার মতো
রক্তস্রোত পেয়েছে নির্দেশ মাথার ভেতর
আছাড় ও গর্জন।
পিতৃ-পিতামহদের সমুদ্র দূর থেকে
শস্যের ধর্ম দেখতে পায়।
ব্যাঘাত করেনা স্মৃতি। পাশে রান্নাঘর।
প্রতিবেশীদের জানলা বন্ধ
আটচল্লিশ বছর আগের ক্যালেন্ডার দেয়ালে
নুন হলুদের আঁচল বিছানায় গড়িয়ে নেমেছিল
একদিন খদ্দরের লুঙ্গি ও উরু ঠিক ভোর
চারটায়
তারপর ক্লান্ত বালিশ, অন্য কালের সেই
শিল্পসম্মত অগস্ট এবং বৃহস্পতিবার।
চরিতার্থ
তোমাকে আহত করে এখনো একলা ঘুরি পথে।
মনে হয় আমার ভিতরে পিতৃপুরুষের
ভালো না খারাপ। বারান্দায় সোমবার।
পর্দা, হেমন্ত ও বিকেল।
এই কি তন্ময় জীবন?
আসছে অল্প শীতের বাতাস আর
দুর্গ প্রাকারের মধ্যে গ্রহ ও নক্ষত্রের
বালি।
সন্ধ্যার টেবিল। এই তো লেখার মহড়া।
সমাজবাদের দিকে ট্যাঁ ট্যাঁ, টুপ্ টুপ্
সোশ্যাল ট্যাবুলা
পতাকাবাহিত মদন ও অফিসফেরত
ওগো আর্যপুত্র
এই আমাদের শ্রোণীভার। রাখতে পারিনা নভে।
ফাকিং অ্যাডিকশান আহা তরমুজের
স্বাস্থ্যপান করে। ওই তো সন্ধ্যার গলি,
জানলার ভেতরে শয্যা, অন্তর্গত বেলুন।
নিরীহ পেশি অতিক্রমহীন এবং
রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত।
এই সন্ধ্যাকাল আমি ধুয়ে নিচ্ছি
ল্যাম্পপোস্টে।
কম বয়সের প্রতিরোধ ভুলে গেছি।
কবিতা লিখতে আসা নিরীহ,নিবিড় আপেল ও
আমলকিদের বলি
আমি তো কোনোদিন শিখিনি
ব্যঞ্জন শব্দ, উপচানো 64 পদ্ধতি।
লুটিয়ে
ভালোবাসা কোন ক্রিয়াপদ নয়।
যে অর্থে জ্যোস্নার ভঙ্গিটি গায়ে লাগে।
উদগ্রীব গ্রীবার কাছে থেমে যায় অসঙ্গতি
সন্ধ্যার এতো কাছে জোনাকি অথচ
আমার কোনো তৎপরতা থাকেনা।
তুমিও আসছো না।এই ভাবনা নরম হলে
ব্যথারা শরীর খোলে।আর জলফড়িং কিংবা
পাখি ঘিরে থাকে এমন সান্নিধ্য।
সম্পূর্ণ নিজের মত কথা বলে বিবাহিত
বেডকভার।
স্পষ্ট শোনা যায় হাঁসেদের কুশলী চরণ
ওপাড়ার
দিকে চলে যায়।টগরপাতার ধার ঘেঁষে এই
মনপ্রাণ বাতাসে উড়ছে আজ।ততক্ষণ খুব
ভালো গাছপালার নিচে আমাদের সন্ধ্যার
বেঞ্চ।
সারারাত বৃষ্টির পর গ্রিলের ভেতরে
শাড়ি ও সভ্যতা। হায় তফাত এমন সুচারু পর্দা
যার নিজের ওপরে অপূর্ব সঞ্চার করে থাকে।
সে কেন এই বরেন্দ্র লীনতপ্ত নগ্ন পা ও
অতিকায়
একাকার সহ্য করে উদিত হবে? বরং এককথায়
এই বৃষ্টিপাত, জড়ো হওয়া অন্ধকার উৎফুল্ল বিনুনি।
তোমরা বলতে পারো এই আত্রেয়ী ও নক্ষত্র
আমি ভালোবাসি।
জীবনজল মৌনজল
আমি এই অর্কিড থেকে মাঘ মাংস বিচ্ছিন্ন
করে
জেনে নেব শীত
সাহেবগঞ্জের সেই দুঃখই কি মৃত্যুর কারণ
জেনে নেব কাঁচের যে বিধিসম্মত শৃংখলা
ঘন কুয়াশার মধ্যে যে আলোর চলাচল
জেনে নেব সমাজ ও ঠেলে দেওয়া সূত্রগুলি
জাতিস্মর কিনা
বিকেলের আলোমাখা রক্ত, কোন ঘন এক্রেলিক
নাকি এ তোমার দশ আঙুলের ইতিবৃত্ত
নীল চুড়িদারের ভেতরে যে হত্যাকাণ্ড যে পরিত্রাণ
মুক্তি সে কি খণ্ড খণ্ড অগ্নিদাহ
আমাকে পদ্মাসনে বসিয়ে তুমি কুনা ও কাঁটায়
শ্রীমতি সুজাতা কোন তমসা বাগানে
পুষ্পে পুষ্পে সুপ্রাচীন নোনা মাটির এই
বরেন্দ্র....
বাকিটুকু
তোমাকে গম ধরে ময়ূর করেছি
কিন্তু একদিন দরজার দারুণ খুলে
দেখি সহজ প্রজাপতি
তুলে নেবো এরকম মুনমুন একা পেলে
নদনদীর চেয়েও প্রাণভরা ফলমূল
দুপুরের দারিদ্র্য টপকে
আমার পেঁপেগাছের ভাগ্য
এমন চুলের চমৎকার
রাশি রাশি কোমরের গন্ধ
পাখি ফুরোলে
গাছেদের ভেতর তুমিই বেগম
টাইমপাস
তারপর নিজের সম্পর্কে নিজেই জন্মের ওপর
ন্যস্ত
শ্রীমতি বাসনা মেয়েটি মধ্যযুগের। সাত
মাইল দূরে
তার বাড়ি।আগে ও পিছে অপরাধবোধ গ্লানি।
যখন দীঘল ছিল তখন কি আকূল নদী আর রোদ।
মার সঙ্গে প্রতিদিন রাস্তা পেরুতো। কেউ
জানতো না
ব্রীজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতো একটা সাইকেল।
চলে যাওয়ার পরেও অকাতর পীণোদ্ধত ভঙ্গিটির
কাছে
একটা ছোট্ট মোচড়। দুপুরের সাবানের গন্ধ
গুটি গুটি হেঁটে যেত। হঠাৎ তাকিয়ে
কেকাগ্র মযুরী..
কাল কথা হবে... আজ আর ভালো লাগছে না।
এমন মেনে নেওয়ার বিকেল লুটোতো রাস্তায়
অথচ
আহত এই আহ্বানটুকু কুড়িয়ে নেওয়া ছাড়া আর
কিছু
করার ছিল না। আসলে বন্ধু ভর্তি পরবর্তী
দিনগুলি কেমন আছেন? তারপর হয়তো নয়
অথবাও নয়। কারুর জন্যেই কিছু যায় আসে না
এখন মনে হয়।
কেবল একটা সিগারেট ভাগ করে ব্যস্ত রেখেছে
এতকাল।
দূর থেকে
যদি ক্রিয়াটি প্রলুব্ধ হয়
পাখি নাড়বো
ফোঁটা ফোঁটা অমাবস্যা
ফুরিয়ে গেলে
যাওয়ার ভেতরে
চিরকাল পূর্ণ ভূগোল নিয়ে চাঁদ স্বচক্ষে
দেখবে
বাড়ি ফিরছি তাই-
প্রণামকে বাবা বলে টাঙিয়ে রয়েছেন
সম্পূর্ণ চন্দ্রবিন্দু এবং বার্মা কাঠের
ঘুম দিয়ে বানানো
বাবা যেন মৃত্যুঞ্জয়
জাল, জেলে ও উল্টানো নৌকা টপকে
বাবা বলেছিল নির্জন হও
শালিকের শস্যদানা হয়ে বাঁচো।
ঠিক তুমি কোনো শব্দ ছাড়াতে গিয়ে টের পেলে
তা ক্রমশ ঝাপসা স্নায়ুর দিকে চলে গেছে
হাসপাতালের পাশে যে কৃষ্ণচূড়া
সপ্তাহ মাস বুঝতে বুঝতে তার শামুক ফুরিয়ে
গ্যাছে।
সেইসব শব্দেরা
কেউ কেউ ছড়িয়ে দেয়
কেউ কেউ প্রজাপতি শুনতেই চায় না।
অভিমান পড়ে থাকা ধুলোকে নিরাময় করে
সহসা ঘিরে ধরার পাশে
ছড়িয়ে পড়া শোনে
এই নিবৃত্তির সব বুঝতে পারে না
শুধু ফেলে আসার দুঃখগুলি যখন
টান দেয়
থেকে যাওয়া লাটাইকে
তখন বিকেল ভিক্ষাভঙ্গি নিয়ে
পরমহংসের ভেতরে একটু আধটু মুগ্ধতা পায়
অক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা সমুদ্রতীর
পর্যন্ত
কিংবা কোন পাদদেশ হয়ত ভালো লাগে না
এখন সব পাহাড় সরু হঠকারী রাস্তায়
বেরিয়ে দ্যাখে ব্যবহার হয়ে গ্যাছে
এই কবিতাগুলি অসম্ভব ভালো। কেন যে অসঙ্গতি, অর্থহীন ইমেজ ইত্যাদির কথা বলেন বুঝি না।
ReplyDeleteজোর করে বলতেই হবে?
আপনার এই কবিতাগুলির মধ্যে কোনও জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কিছু নেই। অর্থহীনতাও নেই।
মন ভরে গেল
তার আগে এটুকু তো বলো, অর্থহীনতা কাকে বলছ? মিনিংলেস? একটা কবিতা ধরে বুঝিয়ে দাও, সেটার অর্থ।
Deleteভাল লাগল, খুব ভাল।
ReplyDeleteআর এরই সাথে আমার একটা গোপন অস্বস্তি দূর হল, বিশ্বরূপ দাদাকে কোথাও পড়তে না পারার।
sot o bolistho uccharon
ReplyDeleteবিশ্বরূপে কবিতাগুলো পড়ে যা মনে হল, গতানুগতিক কবিতার বেশ বাইরে। প্রায় মন্ত্রের মতো উচ্চারণ। মোহহীন এই বলা।
ReplyDeleteদারুণ
ReplyDeleteএগুলি বিশ্বরুপদার কাছেই সম্ভব
ReplyDeleteভালো লাগলো। কবিতার অর্থ খোঁজা বোকামী মনে হয় আমার কাছে অনুপম দা।
ReplyDeleteকবিতার শরীরে হাত ধরাধরি করে থাকা শব্দ গুলো যেন আমাদের অবসর থেকে উঠে আসা, আর তার গতি অবলীলাক্রমে উর্দ্ধগামী! মুগ্ধতা!ভালো থাকুন কবি।
ReplyDelete