।। বাক্‌ ১২৪ ।। অলোক বিশ্বাস ।।




দুটি কবিতা :  অলোক বিশ্বাস 

অযুত মোমের বীজ

মোমবাতির দাম বাড়লেও ফুরোবে না কেনা, চাঁদ থেকে আনা হবে, রক্ত থেকে
আনা হবে মিরাকেল আলো, দুয়ারে বসে থাকে মা, বসে থাকে বাবা আলো পেতে
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মোমের ট্র্যাডিশন, তন্ময় ধারাবাহিক আলো,
আত্মহত্যা করার আগে সামান্য আরাধনা সম্মুখস্ত হলে জ্বলে না শরীর নির্জনে
পোড়ে না বেডরুম এমনকি মিহি করে বোনা অক্ষরলতা, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদাম
আকাশ ছুঁলেও ব্যারিকেড বেঁধে আলো আটকাতে গিয়ে পুলিশফুলিশ দেখে ফেলে
আটকানো যাচ্ছে না কোনো চালচিত্র মাঠঘাট প্রান্তর লেনবাইলেন সিঁড়ি ও পাখনা
লোকাচারী অসুখের দিনে যদি কোনও কাজ না হয় ওষুধে মালিশে নানা টোটকায়
সমস্ত ডানবাম একূলে ওকূলে নিঃশেষ যখন, কিছুতো অন্য ক্যামেরার আছে পরিচয়
অন্য পদার্থ আছে অন্য ভঙ্গিমা আছে পৃথিবীর সমস্ত অস্তিত্বের চেতনায় ব্যাটারিতে,
আমরা যখন অন্ধকারের বেনিয়াবাজি ভাবছি, তখন একথাই যে অযুত মোমের বীজ
পচাপচা সমষ্টি সমাগমে, এমনকি খেউরের অন্ধকার থেকে ঠিকরে পড়ছে আলো



পরমতা
সবাই রান্না করে থালা বাটি সাজায় পাহাড়ের শীর্ষদেশে পৌঁছে যাবার আগে
যারা বাধা দেওয়ার, পথিমধ্যে বিপদ ওসকাবার, তাদেরও পুনর্জন্ম হয় সংখ্যায়,
ছুঁয়েছি ফকিরের পা, ছুঁয়েছি তোমার স্তন, বিদ্যাসাগরের মাইল মাইলের ফলক
আমি যে সামাজিক সত্য হলেও, অসামাজিক সুরাপথগুলি সেভাবে না থাকলে
কোনদিনই চাঁদের সঙ্গে অন্যতর সম্পর্ক হতো না সকল প্রতিচ্ছবিতে দেখি
মানুষেরা ব্যস্ত শিল্পের বাজারে, কপটারের নিলামে, মারকাস স্কোয়ারে এবং
কাজের ভাবনাগুচ্ছ ও প্রক্রিয়া প্রধানত আলো পেয়ে প্রবাহগুচ্ছ সক্রিয় থাকে
আস্বাদে বিস্বাদে, ল্যাং মারা ও ঝগড়ায় যৌন বিহারে, নিজেকে প্রবল দেখা
বিভিন্ন প্রকার আয়নার সংযোগে যেকোনো সত্তায় পরমতার ভেতরে, শীর্ষ,
জলের ও অরণ্যের শীর্ষ যূথবদ্ধভাবে উঁকি মারে কানকি মারে সকালবিকাল,
যা যা আদপেই ভাবা যায়নি তাদেরও টেনে আনে উন্মাদনায়, কর্ষণ মেধায়
বীট গাজর পালংশাক পিঠেপুলির ওজন ছুঁতেছুঁতে মহাজগতে ত্থাকব আমরা


No comments:

Post a Comment