।। বাক্‌ ১২৪ ।। শানু চৌধুরী ।।







MOM

জুতোর স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেছে, এর ভিতর কোনো প্রশ্ন নেই। আছে একটা সাদা ঝাপসা হিউমারিস্ট হাত। যে নিজেকে নিয়ে ঠাট্টা করে।
          ইট-কাঠ-বালি এই নিয়ে পৃথিবী ভেবে ভেবে যারা আরেকটা পৃথিবী ভুলে গেল তাদের আবেগঘন মন্দিরেই রয়েছে “MOM” MOM-যে জ্যোতিষবিদ্যার অন্তর্গত আমি যেখানে উদ্বেগউচ্ছ্বাসঝোঁক নিয়ে লক্ষ্য-অভিলক্ষ্য নিয়ে অপূর্ব হয়ে নেই, সেই রত্নমন্দিরেই একটা বধির নিশ্চল ছায়া ফেলছে শূন্যতা। আসলে শূন্যতা নয় ভরে টইটুম্বুর হয়ে থাকা ছায়া। যে ছায়ার মেটা-লাঙ্গোয়েজ স্বীকার করার পক্ষপাতী কেউ নেই। কেউ হতে পারে না।

মাটির ভিতর খুঁড়ে খুঁড়ে একটা টয়ল্যান্ড, হাড়বিহীন রাঙের মাংস দেখা যায়। যার এজেন্ট কৌতুকের প্রস্তাবিত জল আর বায়ুর অন্তঃস্থল। আর সেই অন্তঃস্থলেই বিদ্যা আর জ্ঞান সামঞ্জস্যহীন। জ্ঞানের মাত্রাবৃদ্ধিতেই প্রশ্রয় ও ইতিহাস।

অ্যাড নসিয়্যাম; এই এত উদ্রেকজাত ঘৃণার ড্যাপল আলোর মুখ থেকে বের করে আনছে ঠগ নিদাঘ আয়নায়। হস্তান্তরিত হচ্ছে প্রখর রোদেলা শিশিরে।

সমুদ্রে যে শুয়ে আছে তার শিশিরে ভয় কী?

আমরা যেন যোগ দিই কোনো মধ্যবিন্দুতে অথচ পরিখার রাজা হতে কর্মাবধি মহানির্বাণের গল্পে। গল্প শোনাও তাকে-
         এই সমস্ত গল্পের পরেপরেই একটা বিবৃতি জায়গা নিল। প্রসঙ্গত ভ্যানওয়ালা প্রস্রাবখানায় ঢুকে গেল” তারপর প্রাচীন সিনেমাহলের অপারেটর কাটাজোড়া বিশুদ্ধ অথচ নোংরা হাত নিয়ে রিল গোটায়। এটা কূট গল্প। বহির্নিয়ন্ত্রণবাদ। বাট ইট মাস্ট বি লাইক দিস। যে লীন হয়ে আসা নীল পা আর মোমের স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করছে তার কোন উদ্দেশ্য নেই আছে শুধু কৃতকার্যতাকে ঘৃণা করা আর অবিরাম বেঁচে থাকা।

বেঁচে থাকা-অবিরাম
অকৃতকার্য-অবিরাম

কে যেন ব্যূহের অন্ধকারচ্ছটা ছেড়ে পালাচ্ছে। অনন্ত শৈবাল খুঁড়ে খুঁড়ে যার জখম দাঁড়িয়ে আছে। গজের পর গজ। তুমি অভিনয় নিয়ে এসো।

এরপর দুটো বদ্রি অনেকদিনের পোষ্যখাঁচা পরিষ্কার করতে করতে পালাল। অথচ দেখি ওড়া ভুলে গেছে। ভুলে গেছে ডানার ব্যাবহারিক প্রয়োগ। খাঁচা ওর ঘর-ডাল-ভাত-রুটি। আর ডালে বসে থাকা, ম্রিয়মাণ আকাশে উড়তে থাকা পাখিগুলো ওর প্রতিদ্বন্দ্বী। কলতলায় নিজের মুখ ধোয়ার শ্রবনকটু ঝাঁঝাঁনো আওয়াজ তখনও নেমে আসছে ব্যক্তিগত কক্ষপথে।
        
          যার শেষ করার দায় নেই। সেই বুঝতে পারে যে আঘাতের নিরাময় কী।
মাদুরের ওপর হাঁটতে হাঁটতে পিঁপড়েটা মাধ্যম করল বই আর অক্ষর ছুঁয়ে ফেলল যার নাম কালেক্টিভ ফেলিওর। ইচ্ছাকৃত আর অনিচ্ছাকৃত-র পার্থক্য কোনো নেই। শুধু ক্ষুধা আর কল্পনা। দুটোর অভাববোধেই জন্ম নেয় পুনরুৎপাদন আর মূল্যসম্পাদনের অংশত চিরাচরিত প্রথা।

[MOM কথাটির অর্থ মা নয় বা Mars orbital mission নয় প্রত্যেকের নিজস্ব অরবিট থেকে MASS-কে দেখার অনুকম্পা হয়ত]


9 comments:

  1. পড়লাম ভাই।। :)

    ReplyDelete
  2. দারুন লেগেছে, বেশ অন্যরকম লেখা।।

    ReplyDelete
  3. ধন্যবাদ ভাই

    ReplyDelete
  4. সংক্ষিপ্ত পরিসরে ভাল। তবে আরও অনেক কিছু বলতে পারতে, চাইলে...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার অজান্তেই থেমে গেছে।

      Delete