পেয়ালা
প্রশান্ত গুহমজুমদার
৩৭। বাতাবিলেবু। একা। অধিক স্পর্ধা নাই। পূবে কি অরুণোদয়?
তবে উত্তরেও শীর্ণ পথ? লাল। অভ্যন্তরীন। ওই বাতাবিলেবুর। পথেরও মাধুরী আছে।
মাধুকরী। পরিণয়। খুব নিকট হইতে দেখিয়াছি, বহুতর রক্ত এবং মৃত্যুসংগীত। আহ্বান কি কেবল
মধ্যরাত্রে? তবে ঐ যে অস্পষ্টতালীন
বাতাবিলেবুতে মেদুর! বৃষ্টিজল! পাতায় প্রগাঢ় অষ্পষ্টতা! আমি মাধুরী দেখি পুনরায়।
স্নান করি। পুরাতনী জলে। স্নান করি।
৩৮। এই ভাঁজ এবং ভাণসমূহ লক্ষ্য করা উচিৎ। অর্থাৎ অদ্যাবধি
মনষ্ক নহে তুমি। বলিতেছি এই টেবিল এবং কাঁটাচামচ বিজড়িত ফুল বিষয়ে। সুতোসমস্ত যে
আলপনায়, সেই বর্ণে তাঁহাদের উদ্বেগও অমূলক। যেহেতু জানালাটা খোলা। অযৌক্তিক, তবু
কবে শেষ চিঠি? পথ যে কালে রূপকথায় মনোরম? আরো কিছু ছিল। যথা, আঙুল, সঙ্গভয়,আলো,
অকিঞ্চিৎ সারমেয়। আর কতবার দেয়াল চিত্রিত করিব!
৩৯। অপাপবিদ্ধ ছিল
সেই রশি। পাপ কিছু অন্তরে। তাহারও কিছু কৌতুকবোধ আছে। মুখে হাত। আর ওম্ অতি দীর্ঘ
শব্দে। অন্তর, রশি,
শূন্যতা, এ ব্যতীত সে ছিল। অতঃপর অন্ধকার নামিয়া আসিল গল্পে। কৌতুক, পাপ সে অপাপে
রশি ধরিল। শক্ত এবং নির্ভুল। আর বিশেষণ নাই ইহার। সে আপ্রাণ শপথ করিল, ভয়, কালো,
নৈঃশব্দে, টিনের ভাঙা জানালা আর দেখিবে না।
৪০। জবা ফুটিল। এবং ভোর হইতে অদৃশ্য রহস্য। এই নৈর্ব্যক্তিকতায়
কেহ কি কিছু রাখিল!
৪১। উন্মোচনের আনন্দ।
কামিনীর আলো। নামিয়া আসিতেছে। স্বাতী নক্ষত্রের। ঝুমঝুম বাজিতেছে। অবাক অরণ্যে।
হাহাকার। ভাতের গন্ধ যেন স্পর্শযোগ্য।
প্রশান্ত গুহমজুমদার অনেকটা পড়া আমার। মজা পুকুর বা মৃত নদীর থেকে ঢের দূর; দুর্গম পাহাড়ের মাথায় এক রসহ্যময় হ্রদের অস্তিত্ব। ভালো লাগলো এখানে প্রকাশ্য কবিতাও।
ReplyDeleteধন্যবাদ মাসুদার। অনুপম, ভালোবাসা।
ReplyDelete